Print

ডাকাত নায়ক-রূপে

দরিদ্র দরোজা সেঁটে
     গোয়ালে পাতানো চকিতেই শয্যা নেয় কৃষকেরা,
বাথানে ব্যাকুল। বধুর সাহারা ছেড়ে
পাহারা বসায় হালের বলদে, গাভীতেও।
শিয়রে টর্চলাইট, চোর তাড়ানিয়া অসম নিদ্রার রাত,
সঁড়কি বল্লম নিয়ে শুঁকে ডাকাতের ঘ্রাণ।

ডাকাতও মেধাবী বটে,
চোরেরা শেয়াল বুদ্ধি ফাঁদে।
     
     গরু-গাভী-মোষ  গোয়ালের লোভ ছাড়ে।
ধন-ধান্যে ভরা গোলাঘর, তাকেও সালাম।
খড়ের আলগা আয়োজনে দেহকে লুকায়।
অবলোকনের চোখে দেখে কর্মিষ্ঠ কিষাণী
কি দারুণ কাদা-মাটি মেখে আঙিনা বারান্দা লেপে।
আলুথালু দেহে কালমেঘের পাতায় জোয়ান মিশিয়ে
বানায় ওষধি। আলুলায়িত সোমত্ত দেহে
সারাদিনের ঘর গেরস্থী শেষে খোঁজে সে রাতের নিয়ামক।

সুদূরে শেয়াল ডাকে, শরীরে তীরের তৃষ্ণা।
বেসনে প্রলেপ দেয়া তেলেভাজা আলুচপ, বেগুনিরা ছমছম।
একলা মাটির ঘরে কাঁদে বেহুলার খাট,  
গবাদি পশুর প্রেমে স্বামী তার গোয়ালে লোপাট।

ডাকাত এবার ফাঁদে পরনারী ফাঁদ,
ভুট্টার সুউচ্চ ক্ষেতে খেলে প্রতিরাত প্রতিঘাত।
দরিদ্র দরোজা আর জানে কুয়োতলা
ডাকাত নায়ক-রূপে, কিষাণী উতলা. . .