যশোরের যশগুলো
কাঁদে কাপোতাক্ষ! মধু কবি মাইকেল তাকে
কবিতা শুনিয়ে কতো ভুলিয়ে রেখেছে।
ঝিনুক মুহূর্ত সাগরের সুখ দেবে বলে
কবি আজীজুল বাজালো স্বপ্নের সারিন্দা।
শত রতœ, গীত বাদ্য নৃত্যের সঙ্গীতে
তিতে জীবনের স্বাদ নিলো যশোরের যশ।
কষ্টমঞ্চে বসে বিলিয়েছে বিনোদন
অথচ আনন্দ মণিহারে শতো শিল্পের সাধক,
বণিক বাঘের চোখ কেবল শিকার খোঁজে।
সতত হে নদ, কপোতাক্ষ যেন রক্তের রক্ষক।
উদীচীর গান-পাখি, নিশ্চিহ্ন রানার, শামছুরের জার্নাল
নেতার নির্মম শোকাহত দেহ,
সবটাই মিশে আছে তোমার গভীর চোখে জলে।
নদীরা সাগরে যায়,
যশোর সেভাবে গেছে সারা বাংলায়, দূর সীমানায়।
তবে দেখো মৃত্যুগুলো, হাসিগুলো, ঘাতকের প্রতিঘাতগুলো
কাদামাটি, পলিতে লুকায়।
প্রিয় কপোতাক্ষ, পার্বনের মেলা বসাবে বসাও
সীমানার সুখ ছুঁয়ে মানবতা এপার ওপার করো,
তবে অবেলায় প্রাণের প্রয়াণ ঘাতক উল্লাস
এইসব উগ্র আকুলতা নিয়ে কবিতা গড়ার কাজে
আমাকে ডেকো না,
সেনাবাসে গিয়ে শেয়ালের ডাক শোনা ভালো!
কপোতাক্ষ ছু’য়ে লাশকাটা কবিতার চরণ বারবার...
আমি ক্ষমা চাই, আর শুনবো না, আমি লিখবোনা।