Print

গন্ধ-তরলে বিমুখ

হেমলক নেবো তবু হুইস্কি নেবো না।
চৈতন্য ও আনন্দের স্বরূপ যে চিদানন্দ
সে গন্ধবণিক নয়, তবু তার
ভেতো মুখে তেতো স্বাদ বড়োই সহায়।
হয়তো খানিক আছে প্রণয়াপরাধ,
অথবা সামান্য ভুলে বরাসনে বিরহ-ব্যর্থতা,
প্রেমকে পাগল পর্ব ভেবে প্রাণকে ঢোকাতে চায়
প্রতিদিন পাগলা গারদে।
আবছা আবছা দেখা প্রেমিকের মুখ,
আলোছায়া দুলে ওঠে রংধনু দিন
গ্লাসের ভেতর খোঁজে নায়িকা সাঁতার
আপাতমধুর এই বিবেক হারানো র-মানুষ
ভুলে যায় পদবী, বসতি, আত্মসংবরণ,
মেতে ওঠে হুইস্কির হলাহলে
জায়মান জীবনের নবজন্মে, মধুমত্ততায়।
পুনর্জন্ম অথবা সব ভুলে থাকা ভালো
তবে পাগল প্রসাব, কল্পপ্রেমিকার সাথে
গল্প নায়কের ভেক্ ধরা স্ত্রী হারানো হাত,
পেগ পেগ প্রশান্তিতে বিপন্ন উদাস।
ব্যর্থতার দায়ভারে কী এমন
উপশম দেবে বোতলের ছিঁপি?
জননীকে জায়ার আদর দিয়ে আজো ভ্রান্তি নিয়ে কাঁদে
        নাটুকে সন্তান ইডিপাস।
তারপরও শীতল আইসের গ্লাস ছুঁয়ে দুলুনির ঘুম;
পৃথিবী দুলিয়ে দেখা-ভালো, তবে দুর্গন্ধ সমেত কেনো?
শ্রমের ক্লান্তিও পিঠে উষ্ণ বাথটাবে হাতভরা জিন,
    চোখভরা কাব্য-বিনোদন,
    কানভরা সাঁনাই-এস্রাজ,
সিকিরাতে মৃদুমন্দ রেড ওয়াইন অথবা শ্যাম্পেন
তবেইতো প্রাতঃরাশে সুখ দেবে দিনের নিয়ম।
জ্ঞানের বাণীতে জানি ধ্যানের পাখিরা ফেরাবে না মুখ।
পাখির কথাও ভালো, অনুবাদহীন তবে মাদকবিহীন।
যন্ত্র-যন্ত্রণার পৃথিবীতে প্রতিদিন খন্ড খন্ড মৃত্যুগান,
বোতল উৎসব থেকে উদ্ভট উদ্গীরণের খাদ্য দূষণ,
বারবার বিরহের মৃত্যুর বদলে
এবার বীরত্বে অমরতা নেবো, যেন সক্রেটিস
মাতাল বিষেই একবারই গন্ধবণিক।
একেবারে হেমলক নেবো, হুইস্কি নেবো না।