সঙ্গে নিঃসঙ্গে
তোমাকে ভাবছি বলে আমি এখন কেমন আঠারোয়
নেমে গেছি।
নামতে নামতে সেই নারদ নদীর ধারে, কোলে
নামতে নামতে তুমি শুধুই চেঁচালে,
রমণী অমন করে এতোটা নামায় জানে না বয়েস
জেনেছি তখন
যখন আমার নামানোর আর কিছু নেই।
থেমে গেছি আমি যেন আঁচলে-বাঁধনে।
সিনেমার নায়িকা স্বভাবে ডাহুক চিবুক ধরো,
সেলুনে গিয়েছি তাই রাখতে প্রথম আবর্জনা।
প্রতিদিন একটি টাকায় কেনা
চোয়াল ও থুতনীর মসৃণতা,
পবিত্রতা
সব চেটেপুটে হাত মুছে সেই যে বিদায় নিলে
সহস্র ব্লেডের ধারে মরচে পড়েছে এতো দিনে,
লোশন লাগিয়ে ঢোলা ত্বকে চোখ ফেলি আয়নায়
শুধুই নামছি আঠারোয় একাকী ভ্রমণে,
বয়সের কতো ঘাম তারপর শুষে নিলো হলুদ টাওয়েল।
তোমাকে ভাবতে খুব কসম কাটার কথা মনে পড়ে।
আকাশ ফাটলে বা বৃষ্টি নামলে ফেটে যেতো আমাদের
সাক্ষাতের গোপন বেলুন।
মফস্বল শহরের নদী হয়ে জেগে থাকা বিরহী সময়
ভূমিহীন একলা আবেগে হয়ে ওঠে ভেজা সাদা বক।
পাঁচদিন পর কলেজে যখন দেখা হয়ে যায়
পরিচয়হীন প্রতিবেশিনীর পৃথক পলকে
মেলে ধরো অবাক নীরবতার কার্ফু।
দুপুর নির্জন হয় আমাদের বিশাল অবহেলায়,
নব টিপে বন্ধ করে দেই ‘লাইলী মজনু’ ছবির ওপর
রচিত বিশেষ রেডিও প্রোগ্রাম
বুকের পাহাড়ে এসে ঝুর ঝুর ভেঙে পড়ে বিরহের মেঘ
ঘরে একা, বিছানাতেও শরীর একটাই
আগোছালো মেতে উঠি নিদ্রার উপাসনায়।
তারপর
কে যেন তাড়ায় ঘুম আলতো আঘাতে কানে রেখে মুখ
ডিম পোজ থেকে কুসুম খাওয়ার ঘোরে সমস্ত কসম গিলে
কে যেন চাটতে থাকে রাগবিরহের লবনাক্ত সাদা অংশ।
নিরীহ নিদ্রার কোল থেকে জেগে উঠি
আমি এক সৌখিন শিকারী
দেখি-ওড়নার পালক ছড়িয়ে তুমি হাসিতে আবেগ মেখে
সোনালি আঁশের মাছ জাল না ছিপ ফেলবো ভেবে নেবার আগেই
তুমি তোমাকে আনালে হাঁটু জলের ধরা-ছোঁয়ায়,
তারপর শিকার সমুখে পেয়ে পোশাক গুটিয়ে নিয়ে
আমি নামলাম
উদ্দাম উদ্যোগে জলে জলে যোগাযোগ
প্রথম অভিজ্ঞতার প্রীতি-স্মৃতি দিলাম, নিলাম।