Print

মানিব্যাগ ফেলে এসে

মানিব্যাগ ফেলে এসে কি এক কেলেঙ্কারি হলো!

আলো-আঁধারির রেস্টুরেন্টে বসে

তোমার জন্যেই হাতড়ালাম পকেটের ব্যাগ,

তোমাকে দেখাতে চাই তোমারই প্রিয় মুখখানি

সযতেœ সূচনায় রেখে প্রতিদিন টাকা গুণি।

এইভাবে ভালোবাসা গুণতে গুণতে

স্বপ্নের  কার্পেট-সিঁড়ি ভাঙতে ভাঙতে

গড়ে তুলি প্রেমের টাওয়ার,

অথচ টাকার ব্যাগ খোয়া গেলো বলে

তোমাকে তোমার মুখ-সুখ না দিয়ে বরং

শোনালাম নিখোঁজ সংবাদ।

কষ্ট আর কান্নাগুলো সমবেত হলো,

কারণ সর্বদা তুমি এক ভ্যানেটিব্যাগহীনা

তুমি শুধু বোঝো তোমার-আমার বোঝাপড়া,

অথচ রেস্টুরেন্টের সাথে সমঝোতা হতে হলে

তোমার গলদেশের জন্যে আনা সোনার লকেট

দিতে হবে দোকানের দখলে, নিলামে...

আলো-আঁধারির অভিমান চোখে-মুখে নিয়ে

স্যুপের বাটিতে না রাখলেও রাগের দু’হাত,

দোহাই দেমাগী, আমাকে বুঝতে হবে

বোকারাম বোকারাম বলে গালি দিলেও

একটু ভাবতে হবে অবুঝ নায়িকা

এইসব বোকামিপনা আর মানিব্যাগ হারানো-খোয়ানো

এমন ঘটনাবলী তখনই ঘটতে থাকে

যখন রঙিন রংধনু ওঠে নায়কের মাথার আকাশে,

প্রতিদিন পাগল-বৃষ্টি ও প্রেমিক-রোদ্দুর মাথাকে ভেজায়।

মানিব্যাগ খোয়ানো খবরে

যেটুকু বিরক্তি-মেঘ জমতে দেখেছি

তা হয়তো অচিরেই দূরে সরে যাবে,

কিন্তু কি এক কেলেঙ্কারির কবিতা

হায়! এখানে রচিত হলো...

 

 

 

দেহ-অন্ত-প্রাণ

 

ভালোবাসার বেলতলাতে

চুল হারানো বিষাদ প্রেমিক

একবারই যায়, শেষবারই যায়,

পান খেয়ে যার মুখ পুড়েছে

চমন বাহার চুন-পানে তার

হৃদয় দ্বিধায়, নেই কোনো সায়।

একই পুরুষ একই নারী

শরীর পেলে দ্বিধাবিহীন

হাজার বারও মত্ত খেলায়।