Print

রুমালে অঙ্কিত পাখি

সাহস তোমাকেই ছুঁই বারবার।

আবেগের ডানা ঝাপটায় আলটপকা।

হাতের আঙুলগুলো যেন টসবগে পাঁটটি গ্রেনেড

চোখের জ্যোতিতে রকেটের গতি ও উপমা

আর তুমি

আমার সাহস,

হৃদয়ের রুমালে অঙ্কিত এক প্রেমপাখি।

কেনো হঠাৎ উড়াল দিতে চাও?

যে তুমি ডেকেছো নিজে নিজের ভাষায়,

আশায় আশায় আমি সোনার হরিণলোভী

পেয়েছি তোমাকে

বানিয়েছি লৌহ-প্রেমের অনিন্দ্য খাঁচা।

বলো পাখি, প্রণয়ের শেকল পরো না কেনো?

তোমার সুরের মোহ দ্রোহ থেকে রাখতো তফাতে,

নরোম পালকে মুখ রেখে ভাবতামÑ পৃথিবীর সুখের,

দু’চোখে ফুটিয়েছিলে সংসারের আগাম গোলাপ

আজ আবার দূরের পাখি দূরে যেতে চাও কেনো?

তার আগে আরেকবার আমাকে চেনো।

আমি সেই আমি

যার বিকল্প কেবল তোমার হৃদয়।

তোমাকে করেছি পাঠ এতোটা জীবন,

পৃথক অধ্যায় নও, তুমিতো আমার এক পূর্ণ গ্রন্থ।

একটি জীবন আজ অন্য একটি জীবন চায়।

পোষা পাখি কেনো যে তফাৎ যায়।

বুঝি না নারীর ভাষা নিয়ম কানুন

শুধু জানিÑ একশ ফুলের মধ্যে অন্যতম নও

তুমি আমার একটি বাগানের একমাত্র সুপ্রিয় গোলাপ

সুগন্ধ নেওয়ার আমার একক অহংকার।

তবু পাখি চলে যাবে?

থাকবে না

ডাকবে না

আর আমার কিছুই ভালোলাগবে না তাই

প্রিয় পাখি

তোমার উড়ন্ত বিরহের ডানাগুলো আমাকে ডাকবে,

অসীম সাহসে বেশ আমিও ছূটবো

ফুটবো হয়তো শেষে এসিড এটম হয়ে।

হৃদয়ের রুমালে অঙ্কিত প্রিয় প্রেম পাখি

কেনো হঠাৎ উড়াল দিতে চাও?

কেনো হতে চাও হিরোশিমা-নাগাসাকি?