Print

বিপরীত সমীকরণ

০১.

ভূতের গলিতে খেয়ে প্রতিবেলা

পাঁচতারা শেরাটনে সারে টয়লেট

কবি এক হয়তোবা ইকবাল আজিজ, অথবা

উল্টো তার নাম-কাজ,

পথিকের ভেতর এমন অনেক পথিক...

 

০২.

আরেকটি নাম, রুমানা জামান

প্রেমিককে ফেরেশতা ডাকে,

কারণ দু’ঠোঁট নাকি শুধু তার ঠোঁট চেনে,

                চেনে না  শলাকা  ধূমপান,

জায়নামাজ থেকে উঠে এসে ধরে

                রুমানার প্রিয় ফোন, শ্রবণ-প্রবণ

অথচ মহল্লা জানে যুবকের রাতের বারতা

গলাকে ভেজাতে ঢালে উল্টা-পাল্টা ছয়-নয়,

মুখর মৌতাত, বিলুণ্ঠিত বিশ্বাসের তরল গরল...

০৩.

সরল গল্পের ফাঁদে জানালো ফারুক মঈনুদ্দিন

                                একজন তরুণ নায়ক কাঁদে,

সকাল সকাল গিয়েছিলো প্রত্যাশিত নিধুবনে,

পরকীয়া-ছোঁয়া পরস্ত্রীর আঁচলের আহ্বানে,

ব্যাগের সংসার ঘাড়ে, ডাকে তাকে প্রভাতের পলায়ন,

জুটি বেঁধে পাড়ি দেবে শহর প্রাচীর,

এ বড়ো সহজ খেলা এই ভেবে

যখন নাড়লো কড়া চোরামুখে দরোজায়,

হাসি সব বাসী করে নায়িকা দেখালো নিরুৎসাহিত মুখ

                পলায়ন প্রক্রিয়ায় প্রস্তুতি-বিমুখ।

বাসর সজ্জায় নেই। শৃঙ্গারের স্বপ্ন ভেঙে

পরস্ত্রী গাইতে থাকে এ কোন গম্ভীরা গান,

জানালো কেবল; পাগলামি আজ নয়,

আজ বড়ো অসময়, কারণ আজ যে ওর

শরীর পুড়ছে জ্বরে, সেবাও চলছে ঘরে,

পতিকে অসুখে রেখে কী করে পালাই?

০৪.

তরুণ অবাক হয় সহ-তরুণের সংসার-সমীকরণে,

মায়ের চেতনা ছিলো মুক্তিযুদ্ধে, রাজনীতি-রণে

আরেক বাবার নাম রাজাকার, দালালীর ইতিহাসে

অথচ প্রাচীর ভেঙে নতুন প্রজন্ম বাসর সাজায়,

শ্লোগানের ঢেউগুলো নীতিডোবা নদীজলে

                আদর্শের প্রতিমা ভাসায়,

ঢাকঢোলে ছাইয়া ছাইয়া বগলও বাজায়,

এতো যে ওলট পালট, যেনবা

তফাত হারিয়ে যায়

                জমজম পানি আর দেশীয় গাঁজায়!