ছ’ইঞ্চি কবিতা
বর্ষণ-ঘর্ষণময় সারারাত ঘরে
কেবল একটি ছ’ইঞ্চি কবিতা ছাড়া আর কিছু দাঁড়ালো না।
আমি চাইলাম আরেকটু হোক
আরো কিছু পংক্তি, ফিসফাস, আবেগ উচ্ছ্বাস
অথচ আমার মাননীয় সম্পাদক যেন
পরিতৃপ্ত চোখে জানালেনÑ ওটুকুই থাক।
আমিতো পুরুষ কবি
বাক্যরানীর লেজুরবৃত্তি করে পেরোই জীবন
শব্দের শর্করা বেচে জমাই খ্যাতির মুদ্রা,
যেখানে জীবন মানে ইঞ্চি ইঞ্চি কবিতার চাষবাস
গাণিতিক জ্যামিতিক প্রক্রিয়ায় মার খায় ম্যালথস
সুখী সংসার হোক না হোক রেখে যাব কবিতা অধিক।
নীরবতার বালিশে মাথা রেখে ঘুমোয় কাজল রাত
আমি তার এলোমেলো চুলে বিলি কেটে সুব্রতক্রিয়ার গল্প করি
হঠাৎ মেঘের শাড়ি বুক থেকে সরে যায় বৃক্ষের বাতাসে
দু’খন্ড চাঁদের উপুড়ে ¯িœগ্ধতা আমাকেই ডাকে
রাত্রি রমণীর কাজল শরীরে ভাসে তারকার টিপ,
পাহাড়ের নাক,
গুল্মের লোমজ ত্বক, চন্দ্রস্তন এবং সুখোময় রমণী সাগর
আমিতো সৃষ্টির পিপিলিকা, কেবল নির্মাণ বুঝি।
কামের অভিসম্পাত নিয়ে সারারাত লজ্জাহীন যা ছিলো নির্মাণ
মাননীয় সম্পাদক, এ আমার বেঁচে থাকার বিকল্প বাহু
ব্যক্তিগত সংবিধান, উত্তর পুরুষ খোঁজা আগামী সংসার
পৃথিবীর প্রতিটি রাতে দেহে দেহে ভাঙি আর গড়ি
যদিও বা ছ’ইঞ্চি কবিতা, এই আমার সর্বোচ্চ অহংকার।