ঘাসের শিশিরে
১৯৮৩-এর ১৪ ফেব্রুয়ারি চিরদূরগামী যে বন্ধু, তোমাকে
পেরিয়ে বিরাশি দিন ফিরে এলাম আবার
মানুষ গড়ার আঙিনায়,
খুঁজি তোমার দুচোখ, ভুলে খাবার-দাবার
হৃদ্যতার, লাল পোশাকের হারানো হৃদয়,
সরালে কোথায় দেহ কোন রহস্য কাঁথায়?
প্রেমের প্রতুল পথে তোমাকে দেখেছি আমি
যেন ফাগুনের টসবগে ফুল,
ইশারায় ডাকো আর হাজার হাজার অনুগামী
নিষিদ্ধতায় ছোটে এবং ছড়ায় হুলস্থূল,
তাড়িত জীবন বই পাড়া থেকে দিয়েছিল বিরাশি দিনের
ছুটি। সরল পিতা বা পিতামহ
রেখেছেন এমন জীবন, বয়ে যাই বোঝা সে ঋণের,
সহো; তৃতীয় বিশ্বের কোমল বিদ্রোহী সহো।
হলে; ক্যান্টিনে বা ক্লাসে তোমাকে জীবন্ত খুঁজি
গোপনে হারিয়ে যায়। এভাবেই হারাবে কী?
না নেই, কোথাও বন্ধু নেই সূর্য নেই, অহেতুক ডাকি।
তুমি নীতি আর ব্যর্থতার দুঃখ সয়ে সয়ে
বিদ্রোহের খামে লিখেছো শোকের চিঠি, নাকি
মিশে আছো ঘাসের শিশির রক্ত ফোঁটা হয়ে...