Print

কালো কামলার কাঠগড়া

কে বলে শেকল পরা ছিলো পদ-ত্বকে

লোমশ দুহাতে ছিলো না লৌহ বেড়ি

কোমড়ে বাঁধেনি স্বর্ণ-পেঁচানো রশি

ভাঙেনি কজি, আঙুলের খুঁটিগুলো

তারা বলেছিলো-যান্ত্রিক হয়ে যাও

হাতুড়ি আঘাতে বিকশিত হোক শ্রম।

শরীর শুধু যে ঘামেই সিক্ত হয়

তার সাথে হোক রক্তের যোগাযোগ,

দু’টোই ঝরুক ভ্রুক্ষেপহীন থাকো

ব্যথার নদীরা করুক তাদের কাজ।

               

তারা ভেবেছিলো  এইভাবে চাষ হোক

ধূসর মাটিতে কালো কমলার বীজ।

নীল কোম্পানি, কারখানা খনিতেও

কয়লার সাথে দিয়েছে তাদের ঠেলে,

এইভাবে শ্রম শ্রমিকের হাত ধরে

ছুটে চলে শুধু মহাপৃথিবীর দিকে।

আর তারা সব তারকা হাসিতে জ্বলে

আকাশে পাঠায় নিজেদের অহরহ,

বিজ্ঞান এসে নতজানু করে দেহ

তাদের দখলে সবকিছু কেঁদে ওঠে।

 

কালো কামলার কাঠগড়া ঠিক নয়

বিচারবিহীন শান্তির নামে তারা

বানালো মিশন মিলেমিশে থাকবার

‘দীন ইলাহী’র হতে চায় আকবার।

সমাধান হোক  এই শিরোনামে তারা

দেখালো দেয়াল-বর্ণের ভিন্নতা

আর বলেছিলো পাঁচ রাজনের কথা

পৃথিবীর শেষ দিবস দেখবে বটে,

চারটি রয়েছে তাসে আর একজন

ভিক্টোরিয়ার ক্রমাগত পরিজন।