Print

কোনো প্রচ্ছদ মানি না

কোনো প্রচ্ছদ মানি না,

ব্যাকরণ মানি বলে শরীরে পোশাক রাখি।

 

পোশাক রয়েছে বলে কয়েদীকে অন্যভাবে চিনি।

পোশাক রয়েছে বলে সভ্যতার নৌকায় পেরোচ্ছি সময়ের নদী।

পোশাক রয়েছে বলে ঝুলে আছি ঐতিহ্যের সাথে ঘরের শিকায়

তবে অবয়বে

মুখোশ আবৃত কোনো প্রচ্ছদ মানি না।

 

মঞ্চের ভাঁড়েরা যদি বাজারে দোকানে এসে মেলে শিল্পের বিকাশ,

দ্রাবিড় সুন্দরী যদি কপাল-দেয়ালে দেয় মেকা’পের চুনকাম

হেঁসেল গৃহিণী যদি শুরু করে অভিজ্ঞতাহীন ভুল রাজনীতি

বৃদ্ধ বিচারক যদি রায়ের বদল আওড়িয়ে যায় বিবর্ণ কবিতা

ছাগল গাভীর কস্তুরিত এমন সুগন্ধ স্রষ্টাদের আমি মানতে পারি না।

 

যার প্রিয় খাদ্য প্রেম

তার পবিত্র থালায় কেনো কেউ কেউ

অর্থের অর্গল খুলে তুলে দাও চটুল খাবার?

জ্বরগ্রস্ত গরম শরীরে

গরম কম্বল জড়ানোর যৌক্তিকতা থাকে না অথচ

তৈলাক্ত মাথায় অবিরাম তেল ঢেলে যাও,

যতটা পাওয়ার কথা

তার চেযে অনেক অনেক বেশি প্রশংসা ছড়িয়ে

সদ্য প্রকাশিত প্রতিভার জন্যে কেনো ডেকে আনো অহংকারের পতন?

 

বিজ্ঞান তাড়ালো ভূত

আর তাদের আত্মারা আজ ঠাঁই নিচ্ছে

কিছু ফাঁকা মানুষের রক্তে-হৃৎপি-ে।

প্রতিভার ক্লোরোফিল থাক বা না থাক

অনেকেই সবুজাভ বড় বৃক্ষ হতে চায়,

ফুল-ফল ফুটুক বা না ফুটুক তারা

ইমিটেশন সজ্জিত রমনীর বেশে হয়ে ওঠে নিজেই বাগান,

অন্যের আলোয় জ্বলা এই সব চাঁদমুখ

     আমি কখনোই মানতে পারি না ।

 

চাই আজ বাইরে ভেতরে এক অবিকল মানুষের সফলতা।

শান্তির স্বপক্ষে শ্বেতকপোত উড়িয়ে হাততালি দেয়া হাসিমুখ

পরে যদি শিকারের আশায় আড়ালে গিয়ে ছুঁড়ে মারে গুলি

আমি সেই শ্বেতকপোতের রক্তের দোহাই দিয়ে সজোরে বলছি

মানি না, এমন কা- মানতে পারি না...

 

আধুনিক কবিতার নামে কষ্ট-কল্পিত কঠিন উপমার ভার,

বিমূর্ত শিল্পের নামে অহেতুক আঁকা

ভূতুড়ে তৈলচিত্রের জটিল প্রচ্ছদ

আমি কখনো মানি না, মানতে পারি না।