Print

যুবজনে দেহ আলো

স্বপ্ন অনেক হলো,

এবার শুধুই কিছু স্বাভাবিক সাফল্যের আকুলতা।

 

সুখী-সমৃদ্ধ-স্বনির্ভরতার নামে পঁচিশের প্রাণান্ত যুবক,

দিয়েছে শ্লোগান আর শুনেছে আহ্বান অধিকার আদায়ে,

চা-পাতা তোলার ভঙিমায় ব্যালট পাতার সব কাগুজে ফসল

বুলেট-ছোরার জোরে জমা হয় দেবীদের বিশাল আঁচলে...

তারপর পতাকা হাঁকানো গাড়ি নিয়ে কতিপয় মানুষের পাশে

কতিপয় মনুষ্য সাইনবোর্ড

জাতীয় ভবনটিকে সযতেœ বানিয়ে যায় কোটিপতিদের ক্লাব।

 

যুবকের দু’চোখে স্বপ্নের সানগ্লাস

বাণিজ্য-বাগানে পাবে পারমিট লাইসেন্স আর ভিসার গোলাপ,

বম্বের রূপালী পর্দা থেকে নেমে আসবে

সোমত্ত নায়িকার শ্রাবণ সান্নিধ্য,

পেট্রোল কারের চার চাকায় দ্রুতচল জীবনের পাশে

সময় থাকবে পড়ে দূরে, অতিদূরে

তার আগে রাতের আঁধারে গাড়ির বনেটে রাখা

অজস্র অস্ত্রের বোঝাপড়া,

এতো ভার, এতো মারণাস্ত্রের সম্ভার  সব বহনের কারবার,

অবশেষে ওজনে ওজনে পরাজিত যুবকের কাঁধ

অস্ত্রে নতজানু ঘাড়...।

বনকে উজাড় করা রাতজাগা কাঠুরিয়ার ভয়ার্ত চোখের মণিগুলো

নিয়তি নামের কোনো স্বার্থপর চিকিৎসক

সেঁটে দিয়ে গেছে যুবকের চোখে।

 

সব আছে,

শরীর; সাঁড়াশি বাহু: রমণের রাগ

উড্ডীন পতাকা ধরে রাখবার নদী নদী ঘাম,

তবুও হারায় কেনো যুবকের জাতীয় সুনাম?

হতাশার ঘুড়ি ওড়ে, মাঞ্জা দেয়া নেশা নেশা সুতো

অবেলায় রক্ত-স্রোত, অকাল প্রয়াত দেহ,

‘যুবজনে দেহ আলো’ বলে বলে স্বদেশ জননী

প্রলাপে-বিলাপে গালে ছু’য়ে নেয় যুবকের মাটি মাখা জুতো...।