Print

সন্ধ্যের গান গেয়ে

তারা এসেছিল সন্ধ্যের কিছু পূর্বে

 

টহল পুলিশ রাজপথে বুট ফেলেছে

রমনার জুটি ডাকছে পৃথক রিকশা

ছাদের কিশোর গুটিয়েছে ঘুড়ি লাটাই,

অফিস ফেরৎ পোশাক রাখবো বাক্শে

তারা এসে গেল হোন্ডায় চেপে ডাকতে।

 

নির্মম দুই শক্ত সোফায় বসল

ব্যাগের ভেতর নীল বোতলের শব্দ

টগবগ করে শরীর হৃদয় দৃষ্টি

 

তৃষ্ণায় নাচে রমণী মোহন রাত্রি

অগ্নি-তামাকে মিশ্রিত ছিলো ফূর্তি...

অপরাধ রেখে অবসাদ দেহ হাসলো

বয়েসে যখন তরুণের সাম্রাজ্য

বৃষ্টি যখন এসেছে সন্ধ্যা রাত্রে

একটু না হয় ভিজলাম নর-নারীতে,

তারা চেয়েছিলো সেই রাতটিকে কিনতে।

 

পকেট ছিলো না মৎস্যবিহীন পুকুর

নীল ছবি মনে সুনিপুণ ডেক বাজছে

বেরোবার আগে জানলা দেবার লগ্নে

দেখলাম এক সংসারী পাখি ফিরছে,

শেষ শিসে তার পথ ফুরোবার তৃপ্তি।

 

ছাদে এক নারী শুকনো কাপড় তুললো

সূর্যমুখীর থালমুখখানা নিতে

ইটের গুঁড়োর লালচে আলোয় হঠাৎ

ধর্মশালার মহাডাকগুলো ভাসলো,

তারা দিচ্ছিলো ব্যস্ততা-তারা উস্কে।

জীবন যখন ছুটছে রাতের লক্ষে

পৃথিবী  যখন গুটিয়ে নিচ্ছে কর্ম

আবাস যখন উদরে ভরছে মানুষ

আমরা কি তবে সন্ধান করি খেচর?

উৎসবমুখী কোন্ স্বর্গের পথিক?

 

ফিরে দাঁড়ালাম মহাডাকে দেই কর্ণ

পবিত্র হতে পানির নিকটে যাচ্ছি,

যত সব বাঁধা খেচরেরা যাও ফেরৎ

আমাকে ডেকো না উৎসব-নদেনামতে,

তারা রেখে গেলো রাগত দৃষ্টি আটটি।

বাকি দুটি চোখ উদাস তাকিয়ে দেখলো

চারটি প্রাণীর নিরুদ্দেশের যাত্রা

ধুলো-ধোঁয়া হয়ে মিশিয়ে যাচ্ছে শূন্যে

সঙ্গীত এক ভেসে এলো সাঁঝ কণ্ঠে

উত্থান আর পতনের সুরে মিশ্র।

 

তারা এসেছিলো  সন্ধ্যের কিছু পূর্বে।