Print

তিন দেবীতে

খুব সকালে নিদ্রা দেবী বিদায় হলে

ভাবনা দেবী হঠাৎ এসে মাথার ’পরে

জড়িয়ে থাকে, বুকের ঘরে শরীর খোলে

উদোম নেচে পুরো আমায় দখল করে।

 

সমগ্র দিন ভাবনা দেবী সঙ্গে-পাশে

সংসারে ও মানিব্যাগের ভেতর ভাগে,

অফিস ঘরে লজ্জাহীনা মুচকি হাসে

যদিও আমি মগ্ন থাকি গভীর রাগে।

 

ঘুড়ি ওড়ার শরীর যখন দূরগামী

গ্রামবাসীকে দুঃখ সমেত ধারণ করে,

ধারণাটা পক্ব হতেই হঠাৎ থামি,

গাঁ-পরিবার বন্যাতে হায় মাতম করে।

 

ভাবনা দেবীর নিকট যতই নতজানু

দুঃখ এবং লক্ষ সুখের স্মৃতি সেবী,

হঠাৎ আমায় দখল করে আরেক ঝানু

যার শিরোনাম নিত্যদিনের ‘ব্যস্ত দেবী’।

 

শ্রমের পিঠে শ্রমের আঘাত পরম্পরা

কাজের ভাঁজে সেলাম ঠুঁকি ব্যস্ততাকে,

রাত্রি এলেই নিদ্রা দেবী আবেগ ভরা

চুম্বনে তার ভোর অবধি মুগ্ধ রাখে।

 

তিন দেবীতেই জীবন জাহাজ যাচ্ছে ভেসে

নীল আকাশে ওরাই আমার বিমানবালা,

কখন যে হায় ঝড় ঝাপটার পুরুষ এসে

কাড়বে তাদের, বাড়বে এদিক মরণ ডালা।