অতলান্তিকে বাঙালি নদী
স্বদেশের স্মৃতিমুখ প্রবাসী কৌশিক আহমেদকে
নদী পদ্মা-গঙ্গার তীর থেকে বুড়িগঙ্গার উজানে
পদ্মা বণিক গ্রুপে ভেড়ালে সাম্পান চাকরির,
মুদ্রণের মিহি শিল্পে, ক্যালেন্ডারের আয়নায়
স্বদেশের সোনালি প্রকৃতি; ধানক্ষেত; পাটের সবুজ,
পটের সঞ্চয়, মেঠোপথ, জেলেদের জলজ বিজয়
বিপন্ন গরুর গাড়ি, শাড়ির বিকল্প দেহে
হাসি মুখ উপজাতি,
সিলেটের শতাব্দী প্রাচীন টিলা-টিলা চা বাগান
কিংবা চোখ-কাড়া দার্জিলিং, কাশিয়াং, পাহাড়িয়া প্রতিবেশী
প্রকৃতির প্রসাধন দিয়ে নববর্ষে, ঈদে
নতুন কার্ডের আপ্যায়ন, সম্ভাষণ
দিয়েছ মুদ্রিত সুখ, সুদিনের প্রত্যয়, জিজ্ঞাসা
দিয়ে দর্পণে তুলে সচল সজীব স্বদেশের দিনচিত্র,
তবুও স্বদেশ অবশেষে তোমাকে হারালো,
পানিকে যেভাবে শুষে নেয় দূরের মেঘেরা
তুমিও প্রবাসী পাখি ওড়ালে জীবন
আজীবনের আঙিনা সমেত,
শুধু এতটা তৃপ্তির ঢেউ, তুমি আছো
পদ্মার বদলে এক বাঙালি নদীর স্রোতে,
যে শেষে মিশেছে উত্তর অুলান্তিকে
বঙ্গোপসাগরমুখী পথ হারানোর বেদনায় কাঁদতে কাঁদতে।