আমি অনন্তকালের
হেলাল হাফিজ ও শ্যামলকান্তি দাশ, দুই প্রিয় কবিকে
থিতু হয়ে থাকি বলে ভীতু নই এতোটুুকু।
অন্ধকারে ঢাকা চাঁদের অপর পিঠ নই,
আমি এক এমন জীবন
সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখতে দেখতে
রশ্মি ছড়ানোর খেলায় মেতেছি কখন জানি না।
আমি আজ, আগামী ও অনন্ত কালের।
আমার দেহের রক্ত ভোরের আকাশে লেপ্টে থাকে,
আমার সকল শব্দ বাহিত রোদ্দুর ঝরে পড়ে
পৃথিবী ও চিকনমাটিতে।
আসমানী বার্তা নিয়ে নবী হয়ে পৃথিবীতে নয়
দিগন্তের ক্ষয়মান রূপ,
উতলা ঝর্ণার ঝরা দুঃখ
খরা আর সিক্ততার দু’মুখো প্রকৃতি প্রভাবে
মানব সভ্যতা দেখতে দেখতে ধরি কবির স্বভাব।
শারাবান তহুরার স্বাদে শব্দের তকলিফ বিতরণ করে
পাহাড়ের গা ঘেঁষে ধারণ করি সূর্যোদয়।
শব্দের পৃথক আলো,
তারো আছে প্রকৃতি মুখর দু’মুখো স্বভাব
কমনীয়তায় যেমন ভরাতে পারে অনার্দ্র হৃদয়,
ঝলকানিতে তেমনই ছুড়ে দেয় ধনুকের তীর।
তারো আগে ছুঁড়ে দেই পৃথক ঘোষণা
শুরু হোক যুদ্ধের বিরুদ্ধে যুদ্ধ।
কবিতা ফলানো কোনো হৃদয়ের খোলা খাতা পেলে
লিখে ফেলি অনায়াসে,
বেজে উঠি একটি পৃথক কণ্ঠে কালের কোকিল,
দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পেছনে তাকিয়ে থাকে প্রিয় পদাবলী আর কবিকণ্ঠ।
সময় সুযোগ হলে
কতোগুলো লেখা নিয়ে কিছুদিন কলুর বলদ হবো,
ঘানি টেনে প্রমাণ করবো খাঁটি তেলের স্বল্পতা ।
বড়ো বেশি বিদ্যুৎ নির্ভর হলে
তার ছিঁড়ে নোটিশবিহীন অন্ধকারে ডুবে যায় সব,
বেপরোয়া জীবন-যাপন; রান্না-বান্না
জ্বালানির তীব্র সমস্যার মুখে
সৌর চুল্লি খুঁজবে যেদিন
সেদিন উদিত হবো পাঠক সমুদ্র পাশে
আমি
সূর্যোদয়
আজ, আগামী ও অনন্তকালের।