গরিবের ঘুম
গরিবের ঘুম ঘন্টা তিনেক
কিছুটা স্বপ্নে বেশিটা ভঙ্গে
ভীতিমাখা রাত, বুকের সঙ্গে
ভূত শুয়ে থাকে, নড়ে চালার
আলগা বাঁধনে, মালিকানাহীন
করুণ ঠিকানা অথবা করুণা
আগামীকালের সূর্য কি তবে
সত্যিই দেবে ঋণ ভরা আলো?
চক্রবৃদ্ধি সুদের হিসেবে
প্রতিদিন নামে সন্ধ্যের ঝাঁপ
উদোম আবাসে বহুমুখী সাপ,
বহুমুখী ওঝা, রাজনীতিকের
প্রতিশ্রুতির বাঁশি সুমধুর
সুদূরে কেবল নিটোল নিদ্রা
গরিবের ঘুম ঘন্টা তিনেক।
গরিবের বধু মৌন মাধুরী
ছিন্নবসনা, রসনার হাঁড়ি
কলসের নাভী, সকলের ভাবী,
বাড়ি ভরা তাই মৌমাছি মেঘ
কতো সহৃদয়, কতো নির্দয়
চালাঘর আর কতো পালা করে
পাহারা জমায়! নিদ্রা কমায়
গরিবের গাভী, বলদের চোখ
ডাকাতমুখর রাত তাড়ানিয়া
সাদামাটা পরদিনের জন্যে
ভুলে রাখে মন, যেমন হাঁড়িতে
বাসী ভাত পানি সকালে পান্তা!
শ্রমের ঘন্টা, ভ্রমের যাত্রা
গরিবী নামের রোগ নিয়ে ঢোকে
প্রতিদিন ভোরে কাজের নগরে
যেভাবে ঢুকছে ব্যালট বাক্শে
ক্ষণ গণণার তিনটি ঘন্টা
রাজনীতিকেরা খুব ঝুঁকে থাকে
মনুষ্য রায়, মানুষের দিকে
কৌতুহলের কি দারুণ কালে
সুখে শ্বাস টানে নিরীহজীবীরা।
চৌদ্দশত চল্লিশ থেকে
মাত্র একশ আশিটি মিনিট
এভাবে খানিক নিরিবিলি উম্
গরিবের ঘুম ঘন্টা তিনেক!
কবিদের ঘুম নিদ্রাতে নেই,
শরীরের ঘুম হয়তো অনেক,
গরিবের ঘুম ঘন্টা তিনেক,
ঘন্টা তিনেক...।