আকাশ হবে গোলাম
ভাত খেয়ে যাই ভর্তা দিয়ে ছাদ গড়ে যাই খড়ের,
নড়বড়ে এই রুগ্ন জীবন শক্তি কোথায় ধড়ের।
তবুও দেখো কী পেশা আজ দেগের ওপর ধকল
কি দিয়েছে কাজ আমাদের কি করে খাই সকল
কৃষির ভেতর জমিন চাষি, গরুর অধিক খাটা,
চৈত্র মাসের শুকনো মাটি ঘামছে কপাল, ফাটা।
মুট বয়ে যাই, রিকশা চালাই নৌকা ছোটাই পালের,
কষ্ট বড়ো কাঠুরিয়ার যেমন কাটা ডালের।
যে মধুতেই বোতল ভরা নাই বিবরণ চাকের,
হুল ফোঁটানো কষ্ট কথা মৌ-মাছিদের ঝাঁকের
এই কথা নাই, সেই কথা নাই কি করে পাও দুগ্ধ,
তুষ্টিভরা পুষ্টি পেয়ে তোমরা যারা মুগ্ধ
আমরা এসব দিচ্ছি জোগান আমরা গড়ি সড়ক,
পুষ্টিবিহীন এই আমাদের লেগেই আছে মড়ক।
তোমরা চালাও গ্যাসের গাড়ি, আমরা চালাই শরীর,
আমার শিশু পাতা কুড়ায়, তোমার হাসি পরীর।
এই যে তোমার পরীর জীবন আকাশ-ফ্ল্যাটে জুড়াও,
আমরা যাকে তুলছি গড়ে সেই স্মৃতিটাও কুড়াও।
আমরা আছি পরিশ্রমে তোমরা আছো মেধায়,
কে করে আজ হিসাব বলো কে সম্পদ, কে দায়?
আমরা যারা শ্রম-পাগল বিনির্মাণের সুর-বল,
ক্যান্ আমাদের রাখছো তবে পুষ্টিবিহীন দুর্বল?
ভাত খেয়ে যাই ভর্তা দিয়ে ছাদ গড়ে যাই খড়ের,
তুবও আকাশ দুঃখ পাঠায় কালবোশেখী ঝড়ের,
কানে কানে আর বলে যায় মানুষ তো নয় তুচ্ছ
তোমরা কেনো এত্তো পৃথক ফুল-আগাছার গুচ্ছ?
সূক্ষ্ম চোখে দুঃখ বুঝে এক চেতনায় উম্ দাও,
শ্রমজীবীর-সুখীজীবীর ভাগ করে দুখ্ ঘুম দাও।
তোমরা মানুষ ঐক্য হলে নীল বিধাতাও তুষ্ট,
আকাশ হবে গোলাম ; যখন মানুষ পরিপুষ্ট।